অনুক্রমণিকা
১ | ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বলতে আমরা কি বুঝি? |
২ | মানব দেহে ভিটামিন ডি কেন জরুরী? |
৩ | ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে যে সকল লক্ষণ দেখা যায়? |
৪ | ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ক্ষেত্রে কারা বেশি ঝুঁকিগ্রস্ত ? |
৫ | ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কি করবেন? |
৬ | ভিটামিন ডি এর উৎসগুলো কি কি? |
৭ | যা না বললেই নয় |
সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য শরীরে ভিটামিনের কোন বিকল্প নেই। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।এ সকল ভিটামিন গুলোর মধ্যে ভিটামিন ডি অন্যতম। ভিটামিন ডি মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি হার ও দাঁতের গঠন ঠিক রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্রিয়াকার্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বলতে আমরা কি বুঝি?
মানবদেহে ভিটামিন ডি এর ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস হচ্ছে সূর্যের আলোক রশ্মি। কর্মব্যস্তময় জীবন যাপনের কারনে আমরা অধিকাংশ সময় সূর্যের আলোক রশ্মি থেকে দূরে থাকি। এছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার ঠিকমতো খাওয়া হয় না। এ সকল কারণে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হতে পারে না। যার ফলশ্রুতিতে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি জনিত নানা ধরনের রোগ দেখতে পাওয়া যায়।
মানব দেহে ভিটামিন ডি কেন জরুরী?
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে যে সকল লক্ষণ দেখা যায়?
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে শরীরে নানা রকম লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। এ সকল লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-
শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়। যাদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তারা খুব অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যান। সারাদিনই তাদের মধ্যে একটা ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়।
হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিন ডি এর অভাব। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা করতে থাকে এবং পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কোমর, ঘাড় ও পিঠ সহ সমগ্র শরীরে ব্যথা থাকতে পারে।
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে খুব অল্পতেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এটিও ভিটামিন ডি এর ঘাটতির একটি লক্ষণ।
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে খুব অল্পতেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
হঠাৎ করে আপনি যদি দেখতে থাকেন যে আপনার চুল পড়া বন্ধ হচ্ছে না। তাহলে দেরি না করে সতর্কতা অবলম্বন করুন। অতিরিক্ত চুল পড়া ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থেকেও হতে পারে।
যদি দেখেন যে আপনার ক্ষতস্থান টি শুকাতে দেরি হচ্ছে এবং অল্প আঘাতেই আপনার শরীরে ফ্র্যাকচার তৈরি হচ্ছে। তাহলে বুঝবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতে রয়েছে।
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শরীরে ওজন বাড়তে থাকে।
ভিটামিন ডি এর আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে ক্ষুধা মন্দা দেখা দেওয়া। ক্ষুধা পেলেও খাবার খাওয়ার প্রতি একটা অনীহা লক্ষ্য করা যায়।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ক্ষেত্রে কারা বেশি ঝুঁকিগ্রস্ত ?
পুরুষদের তুলনায় মহিলারা ভিটামিন ডি এর অভাবে বেশি ভোগেন। মহিলারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে তাদের সূর্যের আলোতে বের হওয়া কম হয়। এছাড়াও যেসব মহিলারা স্তন্যপান করান। তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয়।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কি করবেন?
ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ যদি আপনার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই উত্তম। চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে কিনা তা নিরূপণ করেন। আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে চিকিৎসক ভিটামিন ডি ক্যাপসুল সহ নানা ধরনের ওষুধ দিতে পারেন।
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর সব থেকে বড় প্রাকৃতিক উৎস। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসলে ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হয়।গবেষণায় দেখা গেছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকলেই যথেষ্ট ভিটামিন ডি পাওয়া যেতে পারে। তবে এর থেকে বেশি সূর্যের আলোতে থাকা উচিত নয়।
যে সকল খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে। সে সকল খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে।
ভিটামিন ডি এর উৎসগুলো কি কি?
ভিটামিন ডি এর সব থেকে বড় উৎস হচ্ছে সূর্যালোক। এছাড়াও যে সকল উৎস থেকে আমরা ভিটামিন ডি পেতে পারি সেগুলো হচ্ছে-
যা না বললেই নয়
মানব দেহে ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের অসতর্কতা এবং অবহেলার কারণে আমরা ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি। তাই এখনই উচিত ভিটামিন ডি জনিত লক্ষণগুলো জানা এবং ভিটামিন ডি এর উৎসগুলো থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন থাকা।